Ads

৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে বা ছোট বয়সে যে ভুলগুলো আমরা করে থাকি?

ছোট বয়স বলতে আমি একেবারে ছোটদের কথা বলতে চাইনা। কারণ তারা একিবারে ছোট। আমি বলতে চাই ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছোটদের নিয়ে। যারা এই ভুলগুলো সবচেয়ে বেশি করে থাকে। আর পরে এই ভুলগুলো নিয়ে পস্তায়। যদি সঠিক সময়ে আমার নিজেদের ঠিক করে নিতে পারি তাহলে হয়তো। পরে কোন সমস্যাই হবে না। নিজের ভুবিষ্যৎ নিয়ে আর ভাবতে হবে না। ভিডিওটি কিছুক্ষন থামিয়ে। নিজরে ভুলো ভুলো কি ছিল সেটা ভাবলে মনে হয় একটু ভালো হবে।
আমরা ছোট বেলায় যে ভুলগুলো করে থাকি তাএবার আলোচনা করা যাক
সময় নষ্ট করা।

সময় নষ্ট করা যেন আমাদের রক্তে মিশে আছে। সময়ের সঠিক মুল্যায়ন করতে আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানিনা। তাই আমরা আমাদের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করার জন্য বেশি খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেওয়া, বেশি টিভি দেখা ইত্যাদি করে থাকি। এছাড়াও বর্তমান আরো নতুন সময় নষ্ট করার ফাদ বের হয়েছে। যেটা হলো অকারণে বেশি বেশি ফেসবুক, বেশি ইউটুব ব্যবহার ও বেশি গেম খেলা ইত্যাদি। পরিমিত মাত্রায় সব কাজ করলে তাকে সময় নষ্ট করা বলবে না। তাই বই বেশি বেশি পড়তে হবে এবং অন্য সব কাজ পরিমিত মাত্রায় করা উচিৎ। তাহলে তোমার ভবিষ্যৎ অনেক ভালো হবে।


বাবা মায়ের কথা না শোনা
পৃথিবীতে তোমার ভবিষ্যত ভালো করার জন্য সবচেযে বেশি চেষ্ঠা করে ৩টি মানুষ। তারা হলেন প্রথমতো তোমার বাবা ও মা। আরো একজন মানুষ হলেন তোমার শিক্ষক। তাই বলবো এই মানুষগুলোকে খুব বেশি শ্রদ্ধা কর এবং তাদের ভালো কথা ও ভালো দিক নির্দেশনা মেনে চল।
খারাপ বন্ধুদের সাথে মেশা
খারাপ বন্ধু বলতে আমি শুুধু নেশাগ্রস্থ ও যারা খারাপ কাজ করে। তারা ছাড়া আরো আছে যারা তোমার পড়ার সময়ে এসে তোমাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে চায় তোমার জন্য সেও কখনো ভালো বন্ধু হতে পারে না। কেন? আমার জীবনের একটি বাস্তাব অভিঙ্গতা থেকে বলছি। আমার এক বন্ধু আছে। সে অনেক মেধাবী কিন্তু তার এক বন্ধু ছিল সেও খুব মেধাবি। কিন্তু এখন মনে হতে পারে যে তাহলে সমস্যাটা কথায়। সব বুঝিযে বলছি। দুই বন্ধুর নাম আমি ক এবং খ ধরলাম। ক বন্ধু শুধু সকার আর সন্ধায় পড়তে বসে। আর খ বন্ধু রাত ১২ টার পর ও ভোরে ৪ টা থেকে ৬ টা পড়ে। দিনের বেলায় সে কোচিং ও বিশ্রাম করে। খ নং বন্ধু সন্ধাবেলায় প্রতিদিন ও সকল বেলা প্রতিদিন ক নং বন্ধুর কাছে এসে তাকে নিয়ে যায় এবং দুজনেই আড্ডা দেয়। কিন্তু ক নং বন্ধু খ নং বন্ধুর কোন সময় পড়ে সেটা সে জানতো না। তারা দুজনেই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করতো। যদিও ক নং বন্ধুর বাবা ও মা পড়ার সময় তাকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টা পছন্দ করতো না। তারা ছেলেকে বোঝানোর চেষ্ঠা করতো। কিন্তু ছেলে বুঝতেই চাইতো না। এক সময় তাদের দুজনের এসএসসি পরিক্ষা চলে এলো। দেখা গেল ক নং বন্ধু পরিক্ষায় ফেল করলো এবং খ নং বন্ধু পাশ করলো। এবার ক নং বন্ধু খ নং বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলো তুমি কখন বই পড়তে। খ নং বন্ধু সব সত্য কথা বলল। এবার ক নং বন্ধুর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো।
আরো এক প্রকার খারাপ বন্ধু আছে। যারা স্কুল বা কলেজ জীবনে পড়ার সময় তোমারকে ডিস্টাব করবে। কেমন করে ডিস্টাব করবে তাহলে শোন। সে একটি মেয়ের নাম দিয়ে তোমাকে ক্ষেপানোর চেষ্টা করবে। এবাবে তুমি প্রেমে পতিত হবে। এবং হতে পারে তার পর তোমার পড়া লেখা শেষ। তাহলে এখনি সাবধান হও।
দু:চিন্তা করা

পৃথিবীতে কার জীবনে সমস্যা নেই। সবার জীবনেই সমস্যা আছে। কারো সমস্যা ছোট আর কারো সমস্যা বড়। তুমি হয়তো গরিব মানুষের ছেলে বা তোমার বাবার অথবা তোমার মায়ের খারাপ নেশা আছে। হতে পারে তোমরা ঋণগ্রস্থ। হতে পারে তোমাদের থাকার মতো খুব বেশি জমি জমা নেই বা একোবরেই নেই। যার যাই সমস্যা থাকনা কেন? এটা হলো তোমার জন্য আর্শিবাদ। এটা নিয়ে দু:চিন্তা না করে এটাকে মোকাবেলার চেষ্টা করা এবং এটাকে আশির্বাদ মনে করে সামনে এগিয়ে যাও তুমি ভালো কিছু করবেই।
প্রেমে পরা
মানুষের মানুষকে ভালো লাগতেই পারে। তাকে বন্ধু বানিয়ে নাও। কিন্তু তাই বরে এই বয়সে প্রেম বড় আশ্চর্য হয়ে যাই। নিজে ভবিষ্যৎ তো নষ্ট করছো। অন্যের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য উঠেপরে লেগেছে। যা মোটেও ভালো নয়। নিজে ভালো চাকরি বা ব্যবসা করে নিজের পায়ে দাড়াও। তার পর ঐসব বিষয় নিয়ে ভাবো।
বাবা মাকে ধোকা দেওয়া
কোচিং ফি, পরিক্ষার ফি ও অন্যান্য খরচের কথা বলে বেশি টাকা নেওয়া। যেটা মেটেও ভালো কাজ নয়। আমি এখানে বাবা মায়ের জন্য একটি ম্যাসেজ দিতে চাই। আপনার সন্তান স্বাবালগ না হওয়া পর্যন্ত তার যত খরচ নিজেই পরিশোধ করুন। তাহলে সে অকারণে কোথাও টাকা খরচ করতে পারবে না।



আরো নতুন নতুন টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন B.IN.C Computer Care